চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউপি মেম্বার মিজান উদ্দিন।
এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নে কাজের অনিয়ম অডিট টিমের কাছে জানিয়ে দেয়ার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের পিটুনির শিকার হয়েছেন পরিষদের দুই মেম্বার। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরিষদের সভা কক্ষে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা।
আহত দুই মেম্বার হলেন পরিষদের ৫নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জিয়াদুল ইসলাম সেলিম (৩৩) ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজান উদ্দিন মিজান (৩২)। ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন ও পরিষদের অপর সদস্যরা আহত দুই মেম্বারকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আক্রান্ত ইউপি সদস্য মিজান উদ্দিন মিজান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের এলজিএসপি প্রকল্পের অধীন পরিষদের ৯টি ওয়ার্ডে ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা ২০১৫-১৬অর্থবছরের উন্নয়ন কাজের বিষয়ে অডিট চলছিল। ওইসময় ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কাজের মধ্যে সাতটি কাজের অনিয়মের ঘটনা ধরা পড়ে অডিট টিমের কাছে।
আক্রান্ত দুই মেম্বার অভিযোগ করেছেন, পরিষদের ভেতর অডিট টিমের কাছে তাঁরা প্রকল্পের অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য দেয়ায় ক্ষিপ্ত হন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাংগীর আলম। পরে অডিট টিম পরিষদ ত্যাগ করলে তাৎক্ষনিক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাগিনা এসে হামলে পড়ে দুই মেম্বারের ওপর। এসময় দুইজনকে পিটিয়ে ও কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর জখম করে। ঘটনার সময় মেম্বার মিজান উদ্দিনের জামা কাপড় ছেঁেড় ফেলে অভিযুক্তরা।
অভিযোগ অস্কীকার করে বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মুলত ঘটনাটি ঘটে ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বিচার করা নিয়ে। ঘটনার জেরে মেম্বারদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। তিনি বলেন, আমি কাউকে মারিনি। মুলত ইউপি মেম্বাররা ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এসব প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। #
পাঠকের মতামত: